মনের দুঃখ মনে রৈলো রে
শিল্পী: বারী সিদ্দিকী
মনের দুঃখ মনে রৈলো রে….
বুঝলে না রে সোনার চান…
চন্দ্র-সূর্য যত বড়
আমার দুঃখ তার সমান..
চন্দ্র-সূর্য যত বড়
আমার দুঃখ তার সমান..
মনের দুঃখ মনে রৈলো রে….
বুঝলে না রে সোনার চান…
চন্দ্র-সূর্য যত বড়
আমার দুঃখ তার সমান..
চন্দ্র-সূর্য যত বড়
আমার দুঃখ তার সমান..
প্রেমের দায়ে ঘর ছাড়িলাম,
ছাড়লাম আপনজন..
মান-কূলমান সব হারাইলাম….
সাড় হৈলো কান্দন..
প্রেমের দায়ে ঘর ছাড়িলাম,
ছাড়লাম আপনজন..
মান-কূলমান সব হারাইলাম….
সাড় হৈলো কান্দন..
যাইবার কোনো জায়গা তো নাই রে…
নাই আর কোন মান-সম্মান..
চন্দ্র-সূর্য যত বড়
আমার দুঃখ তার সমান…
চন্দ্র-সূর্য যত বড়
আমার দুঃখ তার সমান..
দেশ-বিদেশে ঘুরলাম কতো
লৈয়া ভরা যৌবন
সারা অন্তর ছাই করিলাম….
হৈলো না কেউ আপন..
দেশ-বিদেশে ঘুরলাম কতো
লৈয়া ভরা যৌবন
সারা অন্তর ছাই করিলাম….
হৈলো না কেউ আপন
বলবার কোনো মানুষ তো নাই রে….
সইব কত অপমান
চন্দ্র-সূর্য যত বড়
আমার দুঃখ তার সমান
চন্দ্র-সূর্য যত বড়
আমার দুঃখ তার সমান
মনের দুঃখ মনে রৈলো রে….
বুঝলে না রে সোনার চান…
চন্দ্র-সূর্য যত বড়
আমার দুঃখ তার সমান..
চন্দ্র-সূর্য যত বড়
আমার দুঃখ তার সমান.
চন্দ্র-সূর্য যত বড়
আমার দুঃখ তার সমান.
মনের দুঃখ মনে রৈলো রে
শিল্পী: বারী সিদ্দিকী
মনের দুঃখ মনে রৈলো রে….
বুঝলে না রে সোনার চান…
চন্দ্র-সূর্য যত বড়
আমার দুঃখ তার সমান..
চন্দ্র-সূর্য যত বড়
আমার দুঃখ তার সমান..
মনের দুঃখ মনে রৈলো রে….
বুঝলে না রে সোনার চান…
চন্দ্র-সূর্য যত বড়
আমার দুঃখ তার সমান..
চন্দ্র-সূর্য যত বড়
আমার দুঃখ তার সমান..
প্রেমের দায়ে ঘর ছাড়িলাম,
ছাড়লাম আপনজন..
মান-কূলমান সব হারাইলাম….
সাড় হৈলো কান্দন..
প্রেমের দায়ে ঘর ছাড়িলাম,
ছাড়লাম আপনজন..
মান-কূলমান সব হারাইলাম….
সাড় হৈলো কান্দন..
যাইবার কোনো জায়গা তো নাই রে…
নাই আর কোন মান-সম্মান..
চন্দ্র-সূর্য যত বড়
আমার দুঃখ তার সমান…
চন্দ্র-সূর্য যত বড়
আমার দুঃখ তার সমান..
দেশ-বিদেশে ঘুরলাম কতো
লৈয়া ভরা যৌবন
সারা অন্তর ছাই করিলাম….
হৈলো না কেউ আপন..
দেশ-বিদেশে ঘুরলাম কতো
লৈয়া ভরা যৌবন
সারা অন্তর ছাই করিলাম….
হৈলো না কেউ আপন
বলবার কোনো মানুষ তো নাই রে….
সইব কত অপমান
চন্দ্র-সূর্য যত বড়
আমার দুঃখ তার সমান
চন্দ্র-সূর্য যত বড়
আমার দুঃখ তার সমান
মনের দুঃখ মনে রৈলো রে….
বুঝলে না রে সোনার চান…
চন্দ্র-সূর্য যত বড়
আমার দুঃখ তার সমান..
চন্দ্র-সূর্য যত বড়
আমার দুঃখ তার সমান.
চন্দ্র-সূর্য যত বড়
আমার দুঃখ তার সমান.
নিমাই দাড়া রে,
দাড়া রে নিমাই দেখিব তোমারে রে নিমাই দাড়ারে।
নিমের তলে থাকো রে নিমাই নিমের মালা গলে
হইয়া যদি মইরা যাইতি ও নিমাই রে
না লইতাম কোলে রে নিমাই দাড়ারে…
ঘরের বধু বিষ্ণুপ্রিয়া জলন্ত অগিনি
কেমনে বুঝাইয়া রাখব নিমাইরে
কেমনে বুঝাইয়া রাখব দিয়া মুখের বাণী রে নিমাই..
আগে যিদি জানতাম রে নিমাই যাইবা রে ছাড়িয়া (২)
না খাওয়াইতাম দুগ্ধকলা রে ও নিমাই রে
না খাওয়াইতাম দুগ্ধকলা রে
ফেলিতাম মারিয়া রে নিমাই দাড়ারে
কোথা থেকে আইল গোসাই বসতে দিলাম পিড়ে
সে রাত নিশি রো কালে রে
নিমাই ঘরে নাইও রে নিমাই দাড়া রে…
লেখিয়া পড়িয়া রে নিমাই পণ্ডিত হইছো বড় (২)
পরেরে বুঝাইতে পারো নিমাই রে
পরেরে বুঝাইতে পারো
মাই রে কেন ছাড়ো রে নিমাই দাড়া রে…
দেখো দেখো নইদার বাসী দেখোরে চাহিয়া (২)
নিমাই চান মোর সন্ন্যাসে যায় নিমাই রে
নিমাই চান মোর সন্ন্যাসে যায়
জননী ছাড়িয়ারে নিমাই দাড়ারে…
তুমি বিনে আকুল পরাণ..
Singer:Kazi Shuvo
তুমি বিনে আকুল পরাণ…
তুমি বিনে আকুল পরাণ
থাকতে চায় না ঘরে রে
সোনা বন্ধু ভুইলো না আমারে
তুমি বিনে আকুল পরাণ…
তুমি বিনে আকুল পরাণ
থাকতে চায় না ঘরে রে
সোনা বন্ধু ভুইলো না আমারে
আমি এই মিনতি করি রে এই মিনতি করি রে
সোনা বন্ধু ভুইলো না আমারে
সাগরে ভাসাইয়া কুল-মান…
তোমারে সঁপিয়া দিলাম আমার দেহ-মন-প্রাণ
সাগরে ভাসাইয়া কুল-মান…
তোমারে সঁপিয়া দিলাম আমার দেহ-মন-প্রাণ
সর্বস্ব ধন করিলাম দান…
সর্বস্ব ধন করিলাম দান তোমার চরণের তরে
সোনা বন্ধু ভুইলো না আমারে
আমি এই মিনতি করি রে এই মিনতি করি রে
সোনা বন্ধু ভুইলো না আমারে
আমারে ছাড়িয়া যদি যাও…
প্রতিজ্ঞা করিয়া বলো আমার মাথা খাও
আমারে ছাড়িয়া যদি যাও…
প্রতিজ্ঞা করিয়া বলো আমার মাথা খাও
তুমি যদি আমায় কান্দাও…
তুমি যদি আমায় কান্দাও
তোমার কান্দন পরে রে
সোনা বন্ধু ভুইলো না আমারে
আমি এই মিনতি করি রে এই মিনতি করি রে
সোনা বন্ধু ভুইলো না আমারে
কুল-মান গেলে ক্ষতি নাই আমার…
তুমি বিনে প্রাণ বাঁচেনা কি করিব আর
কুল-মান গেলে ক্ষতি নাই আমার..
তুমি বিনে প্রাণ বাঁচেনা কি করিব আর
তোমার প্রেম-সাগরে…
প্রেম-সাগরে তোমার করিম যেন ডুবে মরে
সোনা বন্ধু ভুইলো না আমারে
আমি এই মিনতি করি রে এই মিনতি করি রে
সোনা বন্ধু ভুইলো না আমারে
এই পৃথিবী যেমন আছে তেমনি ঠিক রবে
সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে
তোমার নগদ তলব তাগিদ পত্র এসে পরবে যবে
মোহ ঘুমে যে দিন আমার মুদিরে দুই চোখ
পাড়াপড়শী প্রতিবেশী পাবে কিছু শোক
তখন আমি যে এই পৃথিবীর লোক ভুলে যাবে সবে
যত বড় হউকনা কেন রাজা জমিদার
পাকা বাড়ি জুড়ি গাড়ি ট্রানজিস্টার
তখন থাকবে না কোন অধিকার বিষয় ও বৈভবে
চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা আকাশ বাতাস জল
যেমন আছে তেমনি ঠিক রইবে অবিকল
মাত্র আমি আর থাকবোনা কেবল জনপূর্ণ ভবে
শব্দ স্পর্শ রূপ রস গন্ধ বন্ধ হলো যেন
এই পৃথিবীর অস্বস্তি বোধ থাকবেনা আর হেন
পাগল বিজয় বলে সেই দিন যেন এসে পড়ে কবে।
আর আমারে মারিসনে মা।
ননী চুরি আর করবো না।।
ননীর জন্যে আজ আমারে
মারলি মাগো বেঁধে ধরে।
দয়া নাই মা তোর অন্তরে
স্বল্পেতে গেলো জানা।।
পরে মারে পরের ছেলে
কেঁদে যেয়ে মাকে বলে।
সেই মা জননী নিঠুর হলে
কে বোঝে শিশুর বেদনা।।
ছেড়ে দে মা হাতের বাঁধন
যাই যেদিকে যায় দুই নয়ন।
পরের মাকে ডাকবো এখন
তোর গৃহে আর থাকবো না।।
যে না বোঝে ছেলের বেদন
সেই ছেলের মার বৃথা জীবন।
বিনয় করে বলছে লালন
কাঁদছে সে করে করুণা।।
ক্ষম ক্ষম অপরাধ
দাসের পানে একবার চাও হে দয়াময়।
বড় সঙ্কটে পড়িয়া দয়াল
বারে বার ডাকি তোমায়।।
তোমার ক্ষমতায় আমি
যা ইচ্ছে তাই করো তুমি।
রাখো মারো সে নাম নামি
তোমারই এই জগৎময়।।
পাপী অধম ত্বরাইতে সাঁই
পতিত পাবন নাম শুনতে পাই।
সত্য মিথ্যা জানবো হেথায়
ত্বরাইলে আজ আমায়।।
কসুর পেয়ে মারো যারে
আবার দয়া হয় গো তারে।
লালন বলে এ সংসারে
আমি কি তোর কেহই নই।।
আমার বন্ধুরে কই পাব গো সখী আমারে বলো না
বন্ধুবিনে পাগল মনে বুঝাইলে বুঝে না গো সখি
আমারে বলো না ।।
সাধে সাধে ঠেকছি ফাঁদে দিলাম ষোলো-আনা
প্রাণপাখি উড়ে যেতে চায় আর ধৈর্য মানে না গো সখি
আমারে বলো না ।।
কী আগুন জ্বালাইল বন্ধে নিভাইলে নিভে না
জল ঢালিলে দ্বিগুণ জ্বলে উপায় কী বলো না গো সখি
আমারে বলো না ।।
পাগল আবদুল করিম বলে অন্তরের বেদনা
সোনার বরন রূপের কিরণ না দেখলে বাঁচি না
আমারে বলো না ।।
খাঁচার ভিতর অচিন পাখি
কেমনে আসে যায়।
ধরতে পারলে মনবেড়ি
দিতাম পাখির পায়।।
আট কুঠুরী নয় দরজা আঁটা
মধ্যে মধ্যে ঝরকা কাঁটা।
তার উপরে সদর কোঠা
আয়নামহল তায়।।
কপালের ফ্যার নইলে কি আর
পাখিটির এমন ব্যবহার।
খাঁচা ভেঙ্গে পাখি আমার
কোন বনে পালায়।।
মন তুই রইলি খাঁচার আশে
খাঁচা যে তোর কাঁচা বাঁশে।
কোন দিন খাঁচা পড়বে খসে
ফকির লালন কেঁদে কয়।।
সময় গেলে সাধন হবে না।
সময় গেলে সাধন হবে না।
দিন থাকিতে তিনের সাধন কেন করলে না।।
জানো না মন খালে বিলে
থাকে না মীন জল শুকালে।
কি হবে আর বাঁধাল দিলে, মোহনা শুকনা।।
অসময়ে কৃষি করে
মিছামিছি খেটে মরে।
গাছ যদিও হয় বীজের জোরে, ফল ধরে না।।
অমাবস্যায় পূর্নিমা হয়
মহাযোগ সেই দিনে উদয়।
লালন বলে তাহার সময় দণ্ড রয় না।।
পারে লয়ে যাও আমায়।
আমি অপার হয়ে বসে আছি ওহে দয়াময়।।
আমি একা রইলাম ঘাটে
ভানু সে বসিলো পাটে।
তোমা বিনে ঘোর সংকটে
না দেখি উপায়।।
নাই আমার ভজন সাধন
চিরদিন কুপথে গমন।
নাম শুনেছি পতিত পাবন
তাইতে দেই দোহাই।।
অগতির না দিলে গতি
ঐ নামে রবে অখ্যাতি।
লালন কয় অকুলের পতি
কে বলবে তোমায়।।
মিলন হবে কত দিনে
আমার মনের মানুষের সনে।।
চাতক প্রায় অহর্নিশি
চেয়ে আছে কালো শশী।
হব বলে চরণদাসী
তা হয় না কপাল গুণে।।
মেঘের বিদ্যুৎ মেঘে যেমন
লুকালে না পায় অন্বেষণ।
কালারে হারায়ে তেমন
ঐ রূপ হেরি এ দর্পণে।।
ঐ রূপ যখন স্মরণ হয়
থাকে না লোকলজ্জার ভয়।
লালন ফকির ভেবে বলে সদাই
ও প্রেম যে করে সেই জানে।।
জাত গেল জাত গেল বলে
একি আজব কারখানা
সত্য কাজে কেউ নয় রাজি
সবই দেখি তা না না না….
আসবার কালে কি জাত ছিলে
এসে তুমি কি জাত নিলে
কি জাত হবে যাবার কালে
সে কথা ভেবে বলো না…
ব্রাহ্মণ চন্ডাল চামার মুচি
একি জলেই সব হয় গো সুচি
দেখে শুনে হয় না রুচি
যমে তো কাউকে ছাড়বে না…
গোপনে যে বেশ্যার ভাত খায়
তাতে ধর্মের কি ক্ষতি হয়
লালন বলে জাত কারে কয়
সে ঘোরও তো গেল না…
জাত গেল জাত গেল বলে
একি আজব কারখানা…….
তুমি জানো নারে প্রিয় তুমি মোর জীবনের সাধনা
তোমায় প্রথম যেদিন দেখেছি মনে আপন মেনেছি
তুমি বন্ধু আমার বেদন বুঝো না
ফাল্গুন দোল পূর্ণিমায় মধুর মৃদু বায়ু বয়
ফুলবনে পুলকের আল্পনা
মাধুয়া মাধুবী রাতে বঁধুয়া তোমারি সাথে
করেছিনু সে যামিনী যাপনা
চলে গেলে আমায় ফেলে কি আগুন মোর বুকে জ্বেলে
একদিনও ফিরে এসে দেখলে না
যদি পেতাম দুঃখিনীর কুটিরে দেখাইতাম
বক্ষ চিঁড়ে বুকের ব্যথা মুখে বলা চলে না
কাষ্ঠ-নলে দাবানল পোড়ায় কত বন জঙ্গল
মন পোড়ানোর আগুন বন্ধু তাহা নয়
কত বিরহীনির অন্তর তলে
বিনা কাষ্ঠে আগুন জ্বলে
জলে গেলে জ্বলে দ্বিগুণ নিভে না– না নিভে না
জনমে জনমে ক্ষিতি অপ তেজ মরুৎ ব্যোমে
খুঁজে ফিরি তোমারই ঠিকানা
পাগল বিজয় বলে চিত্ত চোর
আসবে কি জীবনে মোর
বুকে রইলো ব্যথা ভরা বাসনা।
নিথুয়া পাথারে নেমেছি বন্ধুরে
ধর বন্ধু আমার কেহ নাই
তোল বন্ধু আমার কেহ নাই ।।
চিকন ধুতিখানি পড়িতে না জানি
না জানি বান্ধিতে কেশ ।
অল্প বয়সে পীরিতি করিয়া
হয়ে গেল জীবনেরও শেষ ।
প্রেমেরও মুরলি বাজাতে নাহি জানি
না পারি বান্ধিতে সুর ।।
নিথুয়া পাথারে নেমেছি বন্ধুরে
ধর বন্ধু আমার কেহ নাই
তোল বন্ধু আমার কেহ নাই ।।
আমার ঘরেও জ্বালা বাইরেও জ্বালা রে
জ্বালা রাইতে দিনে – একমাত্র তোর প্রেমের কারনে।
আমি আশায় আশায় বাঁধলাম বাসা দুঃখের বেড়া দিয়া
দিনে দিনে গোনার দিন আমার যাইতাছে ফুরাইয়া
বনের পাখি কান্দেরে বনে
আমারই কান্দনে
– একমাত্র তোর প্রেমের কারনে। হায়রে একমাত্র তোর প্রেমের কারনে
আমার ঘরেও জ্বালা বাইরেও জ্বালা
জ্বালা রাইতে দিনে – একমাত্র তোর প্রেমের কারনে।
আমার অন্তরে বিরহের অনল জ্বলে রইয়া রইয়া
আমায় ছেড়ে ও বন্ধুরে কই রইলে লুকাইয়া
আমি নিত্য নিত্য সাজাই রে বাসর গোপনে গোপনে
– একমাত্র তোর প্রেমের কারনে। হায়রে একমাত্র তোর প্রেমের কারনে
আমার ঘরেও জ্বালা বাইরেও জ্বালা
জ্বালা রাইতে দিনে – একমাত্র তোর প্রেমের কারনে।
পূজা করো যজ্ঞ করো
মালা জপো টিকি ধরো
একদিন ঘরের খবর লইছোনি
ভাগবত পড়ে ভগবানকে পাইছোনি
অজ্ঞ হইয়া যজ্ঞ করো না জানিয়া বাপের নাম
না জানিয়া পূজিতেছো মাটির গড়া কৃষ্ণ-রাম
তুলসীর মালা জপিতেছো
ভাবিয়া কী দেখিয়াছো
টিকি ধরে কী পাইয়াছো
হিসাবে মিলাইছোনি
ভাগবত পড়ে ভগবানকে পাইছোনি
পাষাণ পূজায় আসান হয় না জীবনের দুঃখ-ব্যথা
দেখ হাদিসে করিয়া হদিস যজুর্বেদেও সেই কথা
একটি বছর হইলে পূর্তি
মাটি নিয়া করো ফূর্তি
তোমার ঘরে আছে জ্যান্ত মূর্তি
তাহার পূজা করছোনি
ভাগবত পড়ে ভগবানকে পাইছোনি
তোমার ময়লা মনে বয়লা হাতে গলায় পরো রুদ্রাক্ষ
ভক্ত তুমি বড়ই শক্ত গেরুয়ায় দিচ্ছে সাক্ষ্য
আইছো হাট-বাজারের রঙ লাগাইয়া
পরার কাপড় ছাপাইয়া
একদিন কৃষ্ণ নামের রঙ মাখাইয়া
মনটারে রাঙাইছোনি
ভাগবত পড়ে ভগবানকে পাইছোনি
‘ব্যাপিত্তঞ্চ নিরাকৃতম্ যত্তীর্থ যাত্রা দিনা’
বেদব্যাস বলছেন তাহা বলো কথা সত্য কিনা
কাশীতে নাই শিব আর কালী
কী দেখতে যাও খালি খালি
আছে মনের ঘরে বনমালী
খুঁইজা তারে দেখছোনি
ভাগবত পড়ে ভগবানকে পাইছোনি
নকুল বলে শোনো আমার হিন্দু ভাই ভগ্নিগণ
এই দেহের মধ্যেই গয়া-কাশী-শ্রীক্ষেত্র আর বৃন্দাবন
যাও পাসপোর্ট আর ভিসা করে
হরকে দেখতে হরিদ্বারে
একদিন যেতে হবে পরপারে
তাহার ভিসা আনছোনি
ভাগবত পড়ে ভগবানকে পাইছোনি
আমার বন্ধু দয়াময়
তোমারে দেখিবার মনে লয়।
তোমারে না দেখলে রাধার
জীবন কেমনে রয় বন্ধুরে।।
কদম ডালে বইসারে বন্ধু
ভাঙ্গ কদম্বের আগা।
শিশুকালে প্রেম শিখাইয়া
যৌবনকালে দাগা রে।।
তমাল ডালে বইসারে বন্ধু
বাজাও রঙের বাশি।
সুর শুনিয়া রাধার মন
হইলো যে উদাসি রে।।
ভাই বেরাদার রমণ বলে
মনেতে ভাবিয়া।
নিভা ছিল মনের আগুন
কে দিল-ই জ্বালাইয়া রে।।
আমার সোনার ময়না পাখি
কোন দেশেতে গেলা উইড়া রে
দিয়া মোরে ফাঁকি রে
আমার সোনার ময়না পাখি ।।
সোনা বরণ পাখিরে আমার
কাজল বরণ আঁখি
দিবানিশি মন চায়রে
বাইন্ধা তরে রাখি রে
আমার সোনার ময়না পাখি ।।
দেহ দিছি প্রাণরে দিছি
আর নাই কিছু বাকী
শত ফুলের বাসন দিয়ারে
অঙে দিছি মাখি রে
আমার সোনার ময়না পাখি ।।
যাইবা যদি নিঠুর পাখি
ভাসাইয়া মোর আঁখি
এ জীবন যাবার কালে রে
ও পাখি রে
একবার যেন দেখি রে
আমার সোনার ময়না পাখি ।।
ফুলগাছটি লাগই ছিলাম ধুলা মাটি দিয়া রে,
সে ফুল ফুটিয়া রইলো অগম দইরার মাঝারে ।
বাঁকুড়া বাজারে লাজ লাগে রে ।
গাছে আইল বড় আম,
ছ আনা সাত আনা দাম বড় আম বড় মিঠা লাগে রে,
বাঁকুড়া বাজারে লাজ লাগে রে ।
আম গাছে আম নাই,
কুটা কেন লাড় রে
তুমার দেশে আমি নাই আঁখি কেন ঠার রে ?
কদমতলে মোহনচূড়া ,
দাঁড়ায় আছে নবীন ছুড়া
ওরে ছুড়া মোদের পাড়ায় যাবি লো
গাঁথে দিব বিনি সুতোর মালা ।
সরপে সরপে যাব বাছে
বাছে টুপা লিব সেই টুপায় চালভাজা খাব রে,
সফল জনম আর কি পাব ?
পাবে সামান্যে কি তার দেখা
কেউ বলে, পরম মিষ্টি কারো না হইল দৃষ্টি।।
বরাতে দুনিয়া সৃষ্টি ।।
তাই নিয়ে লেখাজোখা।
(ওরে) তাই নিয়ে লেখাজোখা।
নিরাকার ব্রহ্ম হয় সে সদাই ফেরে অচিন দেশে।।
দোসর তাই নাইকো পাশে।।
ফেরে সে একা একা।
(ওরে) ফেরে সে একা একা।
কিঞ্চিৎ ধ্যানে মহাদেব, সে তুলনা কি আর দেবো।।
লালন বলে, গুরু ভাবো
যাবে রে মনের ধোঁকা।
(ওরে) যাবে রে মনের ধোঁকা।।
মরিলে কান্দিস না আমার দায়।
রে যাদু ধন মরিলে কান্দিস না আমার দায়
মরিলে কান্দিস না আমার দায়
সুরা ইয়াসীন পাঠ করিও বসিয়া কাছায়।
যাইবার কালে বাঁচি যেন শয়তানের ধোঁকায়
রে যাদুধন মরিলে কান্দিস না আমার দায়
বুক বান্ধিয়া কাছে বইসা গোছল করাইবা
কান্দনের বদলে মুখে কলমা পড়িবা।
রে যাদু ধন মরিলে কান্দিস না আমার দায়
কাফন পিন্দাইয়া আতর গোলাপ দিয়া গায়
তেলাওয়াতের ধ্বনি যেন ঘরে শোনা যায়।
রে যাদু ধন মরিলে কান্দিস না আমার দায়
কাফন পড়িয়া যদি কান্দো আমার দায়
মসজিদে বসিয়া কাইন্দো আল্লা’রই দরগায়।
রে যাদু ধন মরিলে কান্দিস না আমার দায়
কেমনে রাখিব তোর মন আমার আপন ঘরে বান্ধিরে
বন্ধু, ছেড়ে যাইবায় যদি………………….।।
পাড়াপরশী বাদী আমার বাদী কালনো নদী
মরম জ্বালা সইতে নাড়ি দিবানিশী কান্দিরে
বন্ধু, ছেড়ে যাইবায় যদি………………।।
কারে কি বলিব আমি নিজেই অপরাধি
কেঁদে কেঁদে চোখের জলে বহাইলাম নদীরে
বন্ধু, ছেড়ে যাইবায় যদি……………।।
পাগল আব্দুল করিম বলে হনো একি ব্যাধি
তুমি বিনে এই ভুবনে কে আছে ঔষধিরে
বন্ধু, ছেড়ে যাইবায় যদি……………।।
লোকে বলে, বলে রে
ঘর-বাড়ি ভালা নাই আমার
কি ঘর বানাইমু আমি শূণ্যেরও মাঝার।।
ভালা কইরা ঘর বানাইয়া
কয়দিন থাকমু আর
আয়না দিয়া চাইয়া দেখি
পাকনা চুল আমার।।
এ ভাবিয়া হাসন রাজা
ঘর-দুয়ার না বান্ধে
কোথায় নিয়া রাখব আল্লায়
তাই ভাবিয়া কান্দে।।
জানত যদি হাসন রাজা
বাঁচব কতদিন
বানাইত দালান-কোঠা
করিয়া রঙিন।।
আমায় এত রাতে ক্যানে ডাক দিলি ।।
নিভা ছিল মনের আগুন জ্বালাইয়া গেলি প্রাণ কোকিলা রে
আমায় এত রাতে ক্যানে ডাক দিলি…
আম ধরে থোকা থোকা তেতুল ধরে ব্যাকা…হায়রে তেতুল ধরে ব্যাকা
আমার আসবে বলে শ্যাম কালাচাঁন নাহি দিল দেখা প্রাণ কোকিলা রে
আমায় এত রাতে ক্যানে ডাক দিলি……
আমার শিয়রে শাশুড়ী ঘুমায় জলন্ত নাগিনী… হায়রে জলন্ত নাগিনী ।।
আমার পৈঠানে ননদী শুয়ে দুরন্ত ডাকিনী প্রাণ কোকিলা রে
আমায় এত রাতে ক্যানে ডাক দিলি…
আম গাছে আম ধরে জাম গাছে জাম……হায়রে জাম গাছে জাম ।।
আমি পন্থের দিকে চাইয়া থাকি
আসেনি মোর শ্যাম প্রাণ কোকিলা রে
আমায় এত রাতে ক্যানে ডাক দিলি প্রাণ কোকিলা রে
প্রাণ কোকিলা রে
বন্ধুর বাড়ী আমার বাড়ী মইধ্যে জলের বেড়া
ওরে হাত বাড়াইয়া দিছে পাঢ কপাল দেখি পোড়া
প্রাণ কোকিলা রে
আমায় এত রাতে ক্যানে ডাক দিলি প্রাণ কোকিলা রে
আমায় এত রাতে ক্যানে ডাক দিলি
শিল্পীঃ আলমগীর
সুরকারঃ পল্লীকবি জসিম উদ্দিন
গীতিকারঃ পল্লীকবি জসিম উদ্দিন
শুয়াচান পাখি আমার শূয়াচান পাখি
আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছ নাকি।।
তুমি আমি জনম ভরা
ছিলাম মাখামাখি,
আজ কেন হইলে নীরব
মেলো দুটি আঁখি।।
বুলবুলি আর তোতা ময়না
কত নামে ডাকি,
তোরে কত নামে ডাকি
শিকল ভেঙ্গে চলে গেলে কারে লইয়া থাকি।।
তোমার আমার এই পিরিতি
চর্ন্দ্র সূর্য্য সাক্ষী,
হঠাত করে চলে গেলে
বুঝলাম না চালাকিরে পাখি
আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছ নাকি।।
শিল্পীঃ বারী সিদ্দিকী
আমার সোনার ময়না পাখি
কোন দেশেতে গেলা উইড়া রে
দিয়া মোরে ফাঁকি রে
আমার সোনার ময়না পাখি ।।
সোনা বরণ পাখিরে আমার
কাজল বরণ আঁখি
দিবানিশি মন চায়রে
বাইন্ধা তরে রাখি রে
আমার সোনার ময়না পাখি ।।
দেহ দিছি প্রাণরে দিছি
আর নাই কিছু বাকী
শত ফুলের বাসন দিয়ারে
অঙে দিছি মাখি রে
আমার সোনার ময়না পাখি ।।
যাইবা যদি নিঠুর পাখি
ভাসাইয়া মোর আঁখি
এ জীবন যাবার কালে রে
ও পাখি রে
একবার যেন দেখি রে
আমার সোনার ময়না পাখি ।।
শিল্পীঃ নীনা হামিদ
সুরকারঃ মোহাম্মদ ওসমান খান
গীতিকারঃ মোহাম্মদ ওসমান খান
মায়া লাগাইছে
পিরিতি শিখাইছে
কী জাদু করিয়া বন্ধে মায়া লাগাইছে
বসে ভাবি নিরালা
আগে তো জানিনা বন্ধের পিড়িতের জ্বালা
যেন ইটের ভাটায় দিয়া কয়লা – আগুন জ্বালাইছে
দেওয়ানা বানাইছে
কী জাদু করিয়া বন্ধে মায়া লাগাইছে
আমি কী বলিব আর?
বিচ্ছেদের অনলে পুড়ে কলিজা আঙ্গার
প্রাণ বন্ধের পিড়িতে আমার – পাগল করেছে
দেওয়ানা বানাইছে
কী জাদু করিয়া বন্ধে মায়া লাগাইছে
বাউল আব্দুল করিম গায়
ভুলিতে পারিনা আমার মনে যারে চায়
কুল-নাশা পিড়িতের নেশায় – কুল-মান গেছে
দেওয়ানা বানাইছে
কী জাদু করিয়া বন্ধে মায়া লাগাইছে
শাহ আব্দুল করিম
আমায় ভাসাইলি রে, আমায় ডুবাইলি রে
অকুল দরিয়ার বুঝি কুল নাই রে।
চাহে আন্ধি আয়ে রে, চাহে মেঘা ছাহে রে
হামে তু আস পার লেখে জানা মাঝি রে।
কুল নাই কিনার নাই, নাইকো দরিয়ার পারি (২)
সাবধানে চালাইও মাঝি আমার ভাঙ্গা তরী রে
আমায় ভাসাইলি রে, আমায় ডুবাইলি রে
অকুল দরিয়ার বুঝি কুল নাই রে।
চাহে আন্ধি আয়ে রে, চাহে মেঘা ছাহে রে
হামে তু আস পার লেখে জানা মাঝি রে।
Aamaay bhaashaaili re
Aamaay doobaaili re
Okool dauriaar boojhi
Kool naai re
Aamaay bhaashaaili re
Aamaay doobaaili re
Okool dauriaar boojhi
Kool naai re
Chaahe aandhi aaye re
Chaahe megha chhaaye re
Hamen tu us paar leke jaana maajhi re
Kool naai kinaar naai
Naai ko dauriaar paari
Kool naai kinaar naai
Naai ko dauriaar paari
Shaabdhaane chaalaaiyo maajhi
Aamaar bhaanga tori re
Aamaay bhaashaaili re
Aamaay doobaaili re
Okool dauriaar boojhi
Kool naai re
Chaahe aandhi aaye re
Chaahe megha chhaaye re
Hamen tu us paar leke jaana maajhi re
Nah main maangoon sona chaandi
Mangoon tose preet
Nah main maangoon sona chaandi
Mangoon tose preet
Balma maeeka chaar gaye
Yehi jagat ki reet
Saiyaan bina
Saiyaan bina
Saiyaan bina
Saiyaan bina ghar soona
Yaad tihaari
Yaad tihaari
Jiyaara jalaaye mora
Ho raaja chain jiya naaheen aaye
Chain jiya naaheen aaye
Chain jiya naaheen aaye
Saiyaan bina ghar soona
Saawariya na aaye
Saawariya
Saiyaan bina ghar soona
Saawariya na aaye
Saawariya
Aamaay bhaashaaili re
Aamaay doobaaili re
Okool dauriaar boojhi
Kool naai re
Aamaay bhaashaaili re
Aamaay doobaaili re
Okool dauriaar boojhi
Kool naai re
Chaahe aandhi aaye re
Chaahe megha chhaaye re
Hamen tu us paar leke jaana maajhi re.
আমায় ভাসাইলি রে, আমায় ডুবাইলি রে
অকুল দরিয়ার বুঝি কুল নাই রে।
চাহে আন্ধি আয়ে রে, চাহে মেঘা ছাহে রে
হামে তু আস পার লেখে জানা মাঝি রে।
কুল নাই কিনার নাই, নাইকো দরিয়ার পারি (২)
সাবধানে চালাইও মাঝি আমার ভাঙ্গা তরী রে
আমায় ভাসাইলি রে, আমায় ডুবাইলি রে
অকুল দরিয়ার বুঝি কুল নাই রে।
চাহে আন্ধি আয়ে রে, চাহে মেঘা ছাহে রে
হামে তু আস পার লেখে জানা মাঝি রে।
Aamaay bhaashaaili re
Aamaay doobaaili re
Okool dauriaar boojhi
Kool naai re
Aamaay bhaashaaili re
Aamaay doobaaili re
Okool dauriaar boojhi
Kool naai re
Chaahe aandhi aaye re
Chaahe megha chhaaye re
Hamen tu us paar leke jaana maajhi re
Kool naai kinaar naai
Naai ko dauriaar paari
Kool naai kinaar naai
Naai ko dauriaar paari
Shaabdhaane chaalaaiyo maajhi
Aamaar bhaanga tori re
Aamaay bhaashaaili re
Aamaay doobaaili re
Okool dauriaar boojhi
Kool naai re
Chaahe aandhi aaye re
Chaahe megha chhaaye re
Hamen tu us paar leke jaana maajhi re
Nah main maangoon sona chaandi
Mangoon tose preet
Nah main maangoon sona chaandi
Mangoon tose preet
Balma maeeka chaar gaye
Yehi jagat ki reet
Saiyaan bina
Saiyaan bina
Saiyaan bina
Saiyaan bina ghar soona
Yaad tihaari
Yaad tihaari
Jiyaara jalaaye mora
Ho raaja chain jiya naaheen aaye
Chain jiya naaheen aaye
Chain jiya naaheen aaye
Saiyaan bina ghar soona
Saawariya na aaye
Saawariya
Saiyaan bina ghar soona
Saawariya na aaye
Saawariya
Aamaay bhaashaaili re
Aamaay doobaaili re
Okool dauriaar boojhi
Kool naai re
Aamaay bhaashaaili re
Aamaay doobaaili re
Okool dauriaar boojhi
Kool naai re
Chaahe aandhi aaye re
Chaahe megha chhaaye re
Hamen tu us paar leke jaana maajhi re.
আর কি ফিরে পাবরে যারে হারায়েছি জীবনে
(আরে) সে যদি আমায় দেখতে আসে গো
চিনবে কি জল দেখিলে দুই নয়নে।
(আরে) বাদল হাওয়া নিষ্ঠুর শ্রাবণ মেঘে ঢাকা চাঁদ
এমনি দিনে হারায়েছে বন্ধু আমার ঘরের চাঁদ
(ওরে) পড়ল আলোর ঝর্ণা আঁধারের বাদ গো
(ওরে) ও চাঁদ খুঁজি সারা ভুবনে।
(আরে) মণিমুক্তা হিরা কাঞ্চন না থাকিলে ঘরে
আবার অর্থ হলে সবই মিলে ভাইরে দিন কয়েক পরে
ও যার মন বিক্রয় হয় মনের দরে গো
(ওরে) সে মন মিলে না মণিকাঞ্চনে।
নদীর কুল ভাঙ্গিয়া গেলে পড়ে বালুর চর
(ওরে) আমারও এই ভাঙ্গা কুলে একদিন পড়ল নারে চর
ও যার ভেঙ্গে গেছে স্বপনের ঘর গো
(ওরে) সে কেন ঘর বাঁধে না গহনে।
আমি জীবনে যারে হারায়েছি পাব কিরে আর
এইটুক শুধু রইল মনে প্রাণের হাহাকার
ওরে পাগল বিজয়েরই ছিন্ন বীণার তার গো
(ওরে) বীণা বাজে এখন বিজয় বিহনে।
হাওয়ার উপর চলে গাড়ি
হাওয়ার উপর চলে গাড়ি,
লাগেনা পেট্রোল ডিজেল,
মানুষ একটা দুই চাক্কার সাইকেল,
কি চমৎকার গাড়ির মডেল,
মানুষ একটা দুই চাক্কার সাইকেল।
দুই চাক্কায় করেছে খাড়া,
জায়গায় জায়গায় ইস্কুরুপ মারা,
বাত্তর হাজার স্পোক দিয়া এই সাইকেল গড়া,
চিন্তা করে দেখনা একবার,
দুইশ ছয়টা হাই এক্সেল।
মানুষ একটা দুই চাক্কার সাইকেল,
কি চমৎকার গাড়ির মডেল গো,
মানুষ একটা দুই চাক্কার সাইকেল।
নতুন সাইকেল পুরান হইবে,
কলকব্জায় জং যে ধরিবে,
বেল বাজির ঐ ঠনঠন আওয়াজ বন্ধ যে হইবে,
এক কদম আগে না বাড়বে,
হাজার বার মারলেও প্যাডেল,
মানুষ একটা দুই চাক্কার সাইকেল।
কি চমৎকার গাড়ির মডেল গো,
মানুষ একটা দুই চাক্কার সাইকেল।
ফুরাইলে সাইকেলের বাতাস,
সেদিন হবে সর্বনাশ,
গিয়ার তোমার কাজ করবে না রাখিও বিশ্বাস,
মুনী সরকার হইয়া লাশ,
থাকবে ভব মেডিকেল,
মানুষ একটা দুই চাক্কার সাইকেন,
কি চমৎকার গাড়ির মডেল গো,
মানুষ একটা দুই চাক্কার সাইকেল।
একদিন মা-টি-র ভিতরে হবে ঘর
রে মন আমার
কেন বান্ধ দালান ঘর ।।
প্রাণ পাখী উড়ে যাবে পিঞ্জর ছেড়ে
ধরাধামে সবই রবে, তুমি যাবে চলে
বন্ধু বান্ধব যত,
মাতা পিতা তারার সুতো;
সকলই হবে তোমার পর
কেন বান্ধ দালান ঘর
রে মন আমার
কেন বান্ধ দালান ঘর ।
দেহ তোমার চর্মচর গলে পঁচে যাবে
শিরা-উপ শিরাগুলি ছিন্ন ভিন্ন হবে
মন্ডু মেরুদন্ড সবই হবে খন্ড খন্ড ।।
পড়ে রবে মাটির উপর
রে মন আমার
কেন বান্ধ দালান ঘর ।
রুপেরই গৌরবে সাজিয়াছ সাজ
সোনাদানা কত কি আর রাজকী পোষাক
যেদিন প্রাণ চলে যাবে, সবই পড়ে রবে ।।
গায়ে দেবে মার্কিন থান
রে মন আমার
কেন বান্ধ দালান ঘর ।
একদিন মা-টি-র ভিতরে হবে ঘর ।